চরম কোন্দল পদ্ম শিবিরে : দল ছাড়লেন উত্তর কলকাতার বিজেপির পর্যবেক্ষক

16th March 2021 4:46 pm হুগলী
চরম কোন্দল পদ্ম শিবিরে : দল ছাড়লেন উত্তর কলকাতার বিজেপির পর্যবেক্ষক


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : ফের বিক্ষুব্ধ হয়ে দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন  উত্তর কলকাতার বিজেপির পর্যবেক্ষক  ভাস্কর ভট্টাচার্য্য। মঙ্গলবার  তিনি চিঠি লিখে বিজেপির  রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।  ইস্তফা দিয়ে ভাস্কর বাবু জানান বিগত ৪০ বছর ধরে  নিষ্ঠার সঙ্গে পার্টি করে আজ এই পুরস্কার পেলাম। আমি এবারে পার্টির কাছে আবেদন করেছিলাম হুগলীর চাঁপদানি অথবা শ্রীরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তাকে প্রার্থী করার জন্য।  কিন্তু দেখলাম যারা কয়েকদিন আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন তারা প্রার্থীপদ পেয়ে গেলেন। যেটা খুবই দুঃখের বিষয়  । তিনি জানান দীর্ঘদিন তিনি হুগলী জেলার বিজেপির সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন। অতি দুঃসময়ে বিজেপি করেছেন। আমার মত যারা এই জেলায় যে সমস্ত কর্মী এবং নেতারা বিজেপি করেছিলেন তারা আজকে ব্রাত্য হয়ে গেলেন। তিনি আগামী দিনে কি করবেন, নতুন ভাবে তার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবেন কিনা অন্য কোন দলে যোগ দিয়ে তা কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।